সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে আসে বিএসএফ, বিজিবির অ্যাকশন




সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে আসলে বিজিবির তোপের মুখে বিএসএফ। ছবি : কালবেলা



বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধায় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারেনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বস্তাবর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নওগাঁ-১৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকালে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে আসলে তাদের কাজ বন্ধ করে দেয় বিজিবি।


অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, নওগাঁর বস্তাবর এলাকায় প্রায় ৬শ গজের মধ্যে দুই দেশের কোনো বেড়া নেই। এদিন সকালে হঠাৎ বিএসএফ এর একটি দল ওই সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিতে আসে। আইন অনুযায়ী দুই দেশের সীমান্ত পিলার থেকে দেড়শ গজের মধ্যে ফসল চাষ ব্যতীত স্থায়ী কোনো স্থাপনা কিংবা বেড়া দিতে পারবে না। এটি দুই দেশের জন্যই প্রযোজ্য হবে। কিন্তু বিএসএফ সদস্যরা আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে কাঁটাতারের বেড়া দিতে আসে। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় কাজ না করেই ফিরে যায় তারা।


তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে দুই দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করা হবে। সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে বিজিবি সবসময় সতর্ক আছে বলেও জানান তিনি।




হঠাৎ সিকদারের সর্বহারা পার্টির পোস্টারিং



নওগাঁ
ধামইরহাট
বিজিবি
বিএসএফ
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন


সিলেট ব্যুরো

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরও খবর




বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বরিশাল মহানগর বিএনপির




গয়েশ্বর-জয়নালসহ বিএনপির ১৭৩ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি




কাতারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ




খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে আহত বিএনপি নেতা সোহেল


যুবদল নেতার মাসিক চাঁদার টার্গেট ৫০ লাখ টাকা

35Shares








অ- অ+



যুবদল নেতা আরিফ রব্বানী হিমেল। ছবি : সংগৃহীত


সুনামগঞ্জে যুবদল নেতা আরিফ রব্বানী হিমেলের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ বিএনপির নেতাকর্মীরাও। প্রশাসন, পরিবহন খাত, বালুমহাল-জলমহাল পর্যন্ত রয়েছে তার আধিপত্য। সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত বলে বিএনপি নেতারা জানান। পারিবারিকভাবে গড়ে তুলেছেন বিশাল সিন্ডিকেট।

বিএনপির একাধিক নেতা জানান, হিমেল গড়ে এক থেকে দেড়লাখ টাকা চাঁদা তোলেন বিভিন্ন খাত থেকে। মাসে ৫০ লাখ টাকার টার্গেট করে প্রতিদিন বিভিন্ন অফিসে দলবল নিয়ে হানা দেন। এক একজনকে দেওয়া হয়েছে এক এক দায়িত্ব।

হিমেলের আপন ফুফাতো ভাই আলমগীর নিয়ন্ত্রণ করেন সীমান্তের চোরাচালান। ছাত্রদলের সদস্যসচিব কোহিনূর অবৈধ বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের সিন্ডিকেটে আছেন- রাধানগরের কয়েছ আহমদ, তারেক আহমদ, নতুন পাড়ার শাহরিয়ার, শ্রীধরপুরের সুহাংগীর, শক্তিয়ারখলার কাউছার আহমদ।

আরিফ রব্বানী হিমেল সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের পুত্র। হিমেলও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।




গত ডিসেম্বর মাসে আরিফ রাব্বানী হিমেলের নেতৃত্বে চাঁদাবাজ দল ফতেপুর ইউনিয়নের রঙ্গিয়ারচর এলাকায় সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ঠিকাদারদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এর প্রতিবাদ করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির অপর একটি অংশ।

২২ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যায় চাঁদা না দেওয়ায় হিমেল বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানা ভবনের সামনে হামলা চালায় বিএনপির এক নেতার ওপর। একপর্যায় হিমেলসহ অন্যরা বিএনপি নেতা আব্বাছ আলীর দোকান ও বাসা বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাসার তালা ভেঙে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঠিকাদার রেজাউল আলম বাদী হয়ে হিমেলসহ ছয়জনকে আসামি করে বিশ্বম্ভরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতারা এই বাপ-ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মান-সম্মানের ভয়ে মুখ খুলছেন না। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির আদর্শকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে বলে অনেক নেতাদের মুখরোচক আলোচনা।

এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির নেতা আব্বাস আলী কালবেলাকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে হিমেলের চাঁদাবাজি, চোরাচালানসহ এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে মানুষকে হয়রানি করছে। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বাপ-ছেলে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফ রব্বানী হিমেল কালবেলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সবই বানোয়াট। দলের মধ্যে কিছু লোক আছে তাদের সাঙ্গে আমার কিছুটা গন্ডগোল আছে। এটা নেতারা শেষ করবেন। চাঁদার ব্যাপারে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে রাজনীতি করি, এখন পাশাপাশি ঠিকাদারিও করি। আমার বিরুদ্ধে কারো কোনো অভিযোগ নেই।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান থানায় অভিযোগের কথা স্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, দলীয় কোন্দলে তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে মামলা রেকর্ড করা হবে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, আমি সদ্য দায়িত্ব পেয়েছি। এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুবদল নেতা
জাতীয়তাবাদী যুবদল
যুবদল নেতার চাঁদাবাজি
বিএনপি
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন


মন্তব্য করুন






কালবেলা প্রতিবেদক

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরও খবর




বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বরিশাল মহানগর বিএনপির




জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে হাসনাতের আলটিমেটাম




নরসিংদীতে লিফলেট বিতরণ করলেন সারজিস




ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২২৪৩ মামলা


সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, জানেন না বাদী









অ- অ+



সাংবাদিক মো. শামীম হোসেন। ছবি : কালবেলা


রাজধানী ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে মো. আব্দুল্লাহ বাবু নামে এক ব্যক্তির চোখ হারান।এ ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৮৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

তবে নাম উল্লেখ করা ৮৪ জন আসামির মধ্যে দৈনিক কালবেলার পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি মো. শামীম হোসেনকে ৫৮নং আমামি করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কিছুই জানেন না মামলার বাদী মো. আব্দুল বারিক শেখ।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর আহত বাবুর বাবা মো. আব্দুল বারিক শেখ বাদী হয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মো. আব্দুল বারিক শেখ ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে।

মামলার বাদী মো. আব্দুল বারিক শেখ বলেন, ‘দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক মো. শামীম হোসেনকে আমি চিনি না। আমি তার বিষয়ে কিছু জানিও না। আমার বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাধ্যমে নাম ঠিকানাগুলো সংগ্রহ করে এ মামলায় অভিযুক্তদের আসামি করেছি। শামীমের নাম-ঠিকানা কে দিয়েছে আমার একটু খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’




জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে হাসনাতের আলটিমেটাম



জানা যায়, মামলার অন্য আসামির মধ্যে রয়েছেন সাবেক মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক র‌্যাব পরিচালক মো. খোরশেদ হোসেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহি, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, টুটুল, রফিকুল ইসলাম, মশিউর রহমান সজল, মইন উদ্দিন ও রাগিব আহসান প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই জুমার নামাজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে যাত্রাবড়ী গোলাপবাগ এলাকায় একটি মিছিলে ছিলেন মো. আব্দুল্লাহ বাবু। হঠাৎ একটি বাসার ভেতর থেকে বেড়িয়ে এসেই পুলিশ সরাসরি রাবার বুলেট ছুটতে থাকে। এ সময় চোখ, মুখ-নাকেও গুলিবিদ্ধ হন বাবু।

এ বিষয়ে মো. শামীম হোসেন বলেন, আমি একজন সংবাদকর্মী। আমি দৈনিক কালবেলার শুরু থেকেই পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছি। মামলায় আমাকে যুবলীগ নেতা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না, বর্তমানেও নেই। এ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ঢাকায় অবস্থান করিনি। আমি আমার কর্মস্থল পাংশায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করেছি। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাংশা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এম এ জিন্নাহ বলেন, ‘কালবেলার পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি মো. শামীম হোসেনকে ঢাকার একটি রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এ মামলা থেকে শামীম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url