২০২৫ সালে ফেসবুক থেকে ভিডিও আপলোড করে ওয়াচ টাইম ছাড়া মনিটাইজেশন সম্ভব হবে কি না, তা নির্ভর করবে ফেসবুকের নিয়মাবলী এবং পলিসির উপর। ফেসবুকের মনিটাইজেশন পলিসি সময় সময় পরিবর্তিত হয়, এবং সাধারণত কিছু মূল শর্তের ভিত্তিতে ভিডিও মনিটাইজ করা হয়।
বর্তমানে ফেসবুকের মনিটাইজেশন পলিসি:
বর্তমানে, ফেসবুকে ভিডিও মনিটাইজ করার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যেমন:
1. ভিডিওর উপযুক্ত দৈর্ঘ্য: ভিডিওগুলি সাধারণত ৩ মিনিটের বেশি হতে হবে।
2. ওয়াচ টাইম: আপনার ভিডিওটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ওয়াচ টাইম অর্জন করতে হবে, অর্থাৎ দর্শকদের ভিডিওটি কতক্ষণ দেখছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
3. ফেসবুক পেইজের মনিটাইজেশন স্ট্যাটাস: আপনার পেইজের সঠিক ফলোয়ার সংখ্যা এবং সক্রিয়তা থাকতে হবে।
4. অন্য শর্ত: নীতিমালা অনুযায়ী কন্টেন্টের গুণমান, কমপ্লায়েন্স ইত্যাদি।
২০২৫ সালে পরিবর্তন হতে পারে এমন কিছু বিষয়:
নতুন পলিসি: ফেসবুক সবসময় তাদের নিয়মাবলী আপডেট করে, তাই ২০২৫ সালে সেগুলির পরিবর্তন হতে পারে।
এডস ইনক্লুশন: ফেসবুক ভিডিওর জন্য বিভিন্ন ধরনের এডস ইনক্লুড করার সুবিধা দেবে এবং পেজের মনিটাইজেশন ফিচার আরো উন্নত করতে পারে।
উপসংহার:
ফেসবুকে ভিডিও মনিটাইজেশন করার জন্য ওয়াচ টাইম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর। যদি ফেসবুক তাদের পলিসি বদলায় এবং ওয়াচ টাইম ছাড়া নতুন কোনো পথ দেয়, তবে সেই বিষয়টি সময়ের সাথে প্রকাশিত হবে। আপনি ফেসবুকের অফিশিয়াল ব্লগ বা পলিসি পেজ চেক করে সর্বশেষ আপডেট দেখতে পারেন।
ফেসবুক নতুন করে কন্টেন্ট মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে বেশ কিছু নতুন আপডেট এনেছে। কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য আয়ের সুযোগ আরও সহজ ও কার্যকর করতে ফেসবুক এই পরিবর্তনগুলো করেছে। নিচে ধাপে ধাপে নতুন আপডেটগুলো তুলে ধরা হলো:
মনিটাইজেশনের জন্য নতুন সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম:
ফেসবুক এখন ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। আগে এই তিনটি পদ্ধতিতে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হতো, যা জটিল ছিল। কিন্তু এখন একবার আবেদন করলেই এই তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে একসঙ্গে আয় করা সম্ভব হবে।
অনবোর্ডিং প্রক্রিয়া সহজতর:
কনটেন্ট নির্মাতাদের নতুন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার জন্য একবার আবেদন করতে হবে। একবার আবেদন সম্পন্ন হলে, তাঁরা ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস এবং পারফরম্যান্স বোনাস—এই তিনটি পদ্ধতির আওতায় আয় করতে পারবেন। বারবার আবেদন করার প্রয়োজন হবে না।
বিটা ভার্সনে পরীক্ষা চলছে:
বর্তমানে ফেসবুক এই নতুন সিস্টেমটি বিটা ভার্সনে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে। প্রায় এক মিলিয়ন আমন্ত্রিত কনটেন্ট নির্মাতা এই বিটা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন। এটি ২০২৫ সালের মধ্যে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
কনটেন্ট বিশ্লেষণের নতুন টুলস:
ফেসবুক নির্মাতাদের জন্য নতুন বিশ্লেষণ টুল নিয়ে এসেছে, যা কনটেন্ট পারফরম্যান্স এবং দর্শকদের প্রতিক্রিয়া আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করবে। এই টুলগুলো নির্মাতাদের কনটেন্ট আরও উন্নত ও পরিকল্পিতভাবে তৈরি করতে সহায়তা করবে, যা তাদের আয়ের সুযোগ বাড়াবে।
প্ল্যাটফর্ম নীতিমালা ও নিরাপত্তার উন্নয়ন:
ফেসবুক মনিটাইজেশন প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল করতে প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপডেট করছে। নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে কনটেন্ট নির্মাতাদের কপিরাইট ইস্যু এবং অন্যান্য ঝুঁকির মুখে পড়া থেকে রক্ষা করা হবে।
আয়ের সম্ভাবনা বাড়ানো:
গত বছরগুলোতে ফেসবুকে কনটেন্ট নির্মাতারা ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছেন, তবে অনেক নির্মাতা এখনও তাদের সম্ভাব্য আয়ের সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেননি। নতুন এই আপডেটের মাধ্যমে কনটেন্ট নির্মাতাদের আয়ের সুযোগ আরও বাড়বে এবং আরও বেশি নির্মাতা তাদের কাজ থেকে লাভবান হতে পারবেন।
নতুন ফিচার: আরও উদ্ভাবনী হওয়ার সুযোগ
ফেসবুক ক্রিয়েটরদের আরও উদ্ভাবনী হতে উৎসাহিত করছে, যাতে তাঁরা নিজেদের কনটেন্টের ধরন এবং মান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন। নতুন ফিচারগুলো নির্মাতাদের কনটেন্ট তৈরির পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনতে সহায়তা করবে এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের আগ্রহও বাড়াবে।
ফেসবুকের এই আপডেটগুলো কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী এবং লাভজনক হতে সাহায্য করবে, যা ফেসবুকের ক্রিয়েটর ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে।
বাংলা ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url